Sunday, April 9, 2017

সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে

সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে



ঘাম বা শরীরের বাজে গন্ধ এড়াতে অনেকে সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকেন। অনেক সুগন্ধি আছে, যা ব্যবহারের কিছুক্ষণ পরই সৌরভ হারিয়ে যায়। আবার ভালো মানের সুগন্ধিও ঠিকমতো ব্যবহার করার বিষয় রয়েছে। শরীরে অনেক সময় ধরে সুগন্ধি ধরে রাখতে এখানে থাকছে কিছু পরামর্শ:
গোসলের পর
আপনি নিজে ঠিক করুন, কতটা সময় আপনার শরীরে সুগন্ধির ঘ্রাণ ধরে রাখতে চান। বেশি সময় রাখতে চাইলে প্রথমে একটা ‘হট শাওয়ার’ (ত্বকে সহনীয় গরম পানিতে গোসল) নিন। এই গোসলের পর আপনার শরীরের লোমকূপের ছিদ্রগুলো প্রসারিত হয়ে যাবে। এরপর সুগন্ধি ব্যবহার করার ফলে সেটা সহজেই আপনার শরীরে অনেক সময় স্থায়ী হবে।
নিচ থেকে
সুগন্ধি ব্যবহার শুরু করুন শরীরের নিচের দিক থেকে, তাহলে সেটা অনেক সময় লেগে থাকবে। যেমন ধরুন, আপনি যদি আপনার পায়ের গোড়ালি বরাবর সুগন্ধি লাগান, তাহলে সময়ের সঙ্গে শরীরের তাপে সেটা ওপরের দিকে আসতে থাকবে আর মিষ্টি গন্ধ ছড়াবে।
ঘষা দেবেন না
অনেকেই হাতে বা ঘাড়ে সুগন্ধি ব্যবহারের পর সেখানে ঘষে ঘ্রাণ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সুগন্ধি শরীরে দিয়ে ঘষার ফলে সেটা দ্রুত হালকা হয়ে যায়। ফলে গন্ধও উবে যায় তাড়াতাড়ি।
ঝাঁকাবেন না
অন্য অনেক উপকরণের মতো সুগন্ধি ঝাঁকাবেন না। কারণ, সুগন্ধি ঝাঁকানোর ফলে সেটা দ্রুত হালকা হয়ে যায়। আর শরীরেও বেশি সময় তা থাকে না।
ত্বক যেমন
সম্পূর্ণ শুষ্ক ও ঠান্ডা শরীরের লোকেরা সুগন্ধি ব্যবহার করলে সেটা বেশি সময় গন্ধ ছড়াবে না। এটা তাঁদের শরীরের ধরনের কারণে হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ভালো পরামর্শ হলো, এমন ত্বকের ব্যক্তিরা শরীরে তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। এতে সুগন্ধ স্থায়ী হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও ইউটিউব
অবাধ্য চুল!

অবাধ্য চুল!



মডেল: জুঁই, সাজ: মিউনিস ব্রাইডাল, ছবি: সুমন ইউসুফমডেল: জুঁই, সাজ: মিউনিস ব্রাইডাল, ছবি: সুমন ইউসুফস্কার্ফ বাঁধার উপায়স্কার্ফ বাঁধার উপায়বাহ্ বেশ সুন্দর চুল তো তোমার! চুলের এই প্রশংসা শুনে যারপরনাই মুগ্ধ আপনি৷ কিন্তু একদিন দেখলেন এই সুন্দর চুলগুলোই বড্ড জ্বালাচ্ছে আপনাকে৷ হয়তো সন্ধ্যায় রয়েছে কোনো নিমন্ত্রণ—এ জন্য সকাল থেকেই বিশেষ পরিচর্যা নিচ্ছেন চুলের৷ কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বড্ড বেয়ারা হয়ে উঠল চুলগুলো৷ যেন আপনার কোনো কথা শুনবে না বলে পণ করেছে। পাশ্চাত্যে চুলের যেদিন এ অবস্থা থাকে সেদিনটাকে বলা হয় ‘ব্যাড হেয়ার ডে’৷ এমন দিনে কীভাবে আপনার অবাধ্য চুলগুলোকে আয়ত্তে আনবেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিলেন হেয়ারোবিক্সের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমীন মিউনি৷

যেদিন চুলে শ্যাম্পু করার পরও তেলতেলে ভাব যায় না, সেদিনও চুল ছেড়ে রাখতে হয় স্কার্ফ বা রুমাল বেঁধে। তবে বাঁধার ঢঙে ভিন্নতা আনতে পারবেন। কপাল থেকে মাথার তালু পর্যন্ত স্কার্ফ বেঁধে নিন৷ এবার চুল ভালো করে আয়রন করে ছেড়ে দিন।

অনেক সময় হাতের কাছে কোনো স্কার্ফ বা ফিতা থাকে না৷ ভাবছেন তখন কীভাবে আয়ত্তে আনবেন চুলগুলোকে। সামনের চুলগুলোকে পেঁচিয়ে টুইস্ট করে নিন৷ এবার চুলের বাম বা ডান যেকোনো একদিকে বেণি করে তা আরেক পাশে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন৷

শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনিং করেছেন কিন্তু তারপরও কাটছে না চুলের উষ্কখুষ্ক ভাব? কিন্তু বাইরে তো বের হতেই হবে৷ এলোমেলো চুল আয়ত্তে আনতে একটা স্কার্ফ বেঁধে নিতে পারেন৷ যেমন স্কার্ফটাকে ভাঁজ করে ব্যান্ডেনার মতো চুলের সামনের দিকে বেঁধে নিন৷ এবার স্কার্ফের খোলা অংশটাকে বেঁধে নিন ফুলের বাঁধনে।
সাজ যখন নষ্ট হয়

সাজ যখন নষ্ট হয়



কাজলটা যে লেপ্টে গেল, এখন কী করি? মডেল: তুরজি, ছবি: সুমন ইউসুফকাজলটা যে লেপ্টে গেল, এখন কী করি? মডেল: তুরজি, ছবি: সুমন ইউসুফসাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু লিপস্টিক পরে নিলেই হলো। কিন্তু হায়! শেষে এসেই ঘটল বিপদ। অসাবধানতায় লিপস্টিক ঠোঁট থেকে বেরিয়ে লাগল নাকের নিচে। এখন কী হবে? হাতেও যে সময় কম। সঙ্গে যদি থাকে মেকআপ রিমুভার, তুলা বা কটন বাড আর মেকআপ-সামগ্রী তাহলে আর চিন্তা নেই। পুরো মেকআপ তুলতে হবে না। বুদ্ধি করে মেকআপের ভুলগুলো শুধরে নেওয়া যাবে। রূপবিশেষজ্ঞ বাপন রহমান বাতলে দিচ্ছেন সেইসব বুদ্ধি।
আইলাইনার
আইলাইনার দিতে গেলে হাত কাঁপে না, এমন আছেন কজন? এটি দিতে গেলে একটু এদিক-ওদিক হবেই। চিকন লাইনার মোটা করা তেমন ঝক্কির কাজ নয়। কিন্তু যদি এক চোখের চেয়ে আরেক চোখের লাইনার মোটা হয়ে যায় তবে? ভুলেও পুরো মেকআপ তুলবেন না যেন। প্রথমে কটন বাডে আই মেকআপ রিমুভার লাগিয়ে নিন। এরপর দুই আঙুল দিয়ে আলতো করে চেপে কটন বাডের অতিরিক্ত ভেজা ভাব দূর করুন। নষ্ট হয়ে যাওয়া আইলাইনের ওপর কটন বাড ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তা তুলে ফেলুন। যদি চোখে শ্যাডো দেওয়া থাকে, তাহলে আইলাইনার তুলে ফেলার সময় সেটিও একটু উঠে আসার কথা। এমন হলে শ্যাডোটা ঠিক করে নিয়ে নতুন করে আইলাইনার পরুন। আর যদি আইলাইনারের কোনা নষ্ট হয়, তাহলে মোছার পর চিকন তুলিতে ত্বকের রঙের চেয়ে এক ধাপ গাঢ় প্যানস্টিক দিয়ে জায়গাটি ঢেকে নিন। তারপর ঠিক করে আইলাইনার পরুন।
মাশকারা
চোখ সাজানোর একদম শেষেই সাধারণত মাশকারা লাগানো হয়। মাশকারা লাগাতে গিয়ে হাত একটু ফসকে গেলেই বিপত্তি। ব্রাশের কালি গিয়ে লাগবে একদম চোখের পাতায়। হায়রে! এতক্ষণ ধরে যত্ন করে চোখে শেড পরলেন আর এখন একটু ভুলের জন্য সব কষ্ট বৃথা যাবে? মোটেই না। মাশকারাও আইলাইনারের মতো একই কায়দায় হালকা করে ঘষে তুলে ফেলতে পারবেন। এরপর আই শ্যাডো ঠিক করে নিন। চোখের পাপড়িতে আরেকবার মাশকারা বুলিয়ে নিতে চান? নিন। তবে এবার কিন্তু খুব সাবধানে। আবার অনেক সময় মাশকারা লাগানোর পর চোখের পলক ফেলার সময় তা পাতায় লেগে যায়। এমন হলে আইশ্যাডো ব্রাশ দিয়েই তা ঠিক করে নিতে পারেন।
কাজল
চোখের নিচে লেপ্টে যাওয়া কাজল বেশি ঘষাঘষি করতে গেলে পুরো মুখে সেই কালি লেগে আরও যা তা অবস্থা হতে পারে। তাই আই মেকআপ রিমুভার দিয়ে তুলে নিয়ে সেখানে সামান্য পাউডার বা প্যানস্টিক লাগিয়ে নিতে পারেন।
লিপস্টিক
লিপস্টিক ঠোঁটের বাইরে চলে গেলে কটন বাডে মেকআপ রিমুভার বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে বের হয়ে যাওয়া অংশ তুলে ফেলুন। ভেতর থেকে বাইরে নয়, মুছতে হবে বাইরে থেকে ভেতরের দিকে হালকা ঘষে। কিছু লিপস্টিকের রং সহজে উঠতে চায় না। এ ধরনের লিপস্টিকের কারণে সাজ নষ্ট হলে মহা জ্বালা। তখন কাজটি করতে হবে একটু ধৈর্য ধরে। বের হয়ে যাওয়া অংশটুকু মুছে ফেলার পর কনসিলার পেনসিল দিয়ে সেই জায়গার মেকআপ ঠিক করে নিতে পারেন।
ব্লাশন
ব্লাশন দেওয়ার পর মনে হলো, ইশ্‌! ব্লাশনের রংটা বেশি চড়া হয়ে গেছে। একটু হালকা করতে হবে। এমন হলে তাড়াতাড়ি ওঠানোর জন্য পানি বা ক্রিম দিয়ে ব্লাশন তুলতে যাবেন না কিন্তু। এতে পুরো সাজ ঠিকঠাক করতে অনেকটা সময় লেগে যাবে। তার চেয়ে বরং হাতে নিন একটি শুকনো কটন বল। ঘষে ঘষে ব্লাশন হালকা করে ফেলুন। রং হালকা হয়ে এলে এর ওপর ত্বকের রঙের সঙ্গে মেলানো ফেস পাউডার বুলিয়ে নিন। মেকআপ করার সময় ব্যবহৃত পরিষ্কার স্পঞ্জ দিয়েও ব্লাশন হালকা করা যেতে পারে।
বাজারে এখন মেকআপ ইরেজার কিনতে পাওয়া যায়। এটি থাকলে মেকআপের ভুলগুলো সহজে ঠিক করা যাবে। আর যদি সাজ বেশিক্ষণ ধরে ঠিক রাখতে চান, তাহলে সাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ‘সেটিংস স্প্রে’ ব্যবহার করে নিন। তাহলে আর সাজ নষ্টের ভয় থাকবে না।
বিশের কোঠায় ত্বকের যত্ন

বিশের কোঠায় ত্বকের যত্ন



২০ বছর পার করেছেন। ৩০ বছরে পা দেওয়া হয়নি। ত্বকে বলিরেখা পড়া শুরু করেনি। চামড়া কুঁচকেও যায়নি। তবে ছোটখাটো কিছু সমস্যা অহরহই হয়তো দেখা দিচ্ছে। একটু যত্ন নিলে হয়তো ঠিকও হয়ে যায়। এই বয়সের একটা ভালো দিক এটা। তবে এই বয়সে ত্বকের যতটা যত্ন নেবেন, পরবর্তী সময়ে ত্বক ততটাই চকচক করবে। বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, ২০ বছরে পা দেওয়ার পরপরই ত্বকের নিয়মিত যত্ন নেওয়া শুরু করা উচিত। শুধু যে বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য এ কাজগুলো করতে হবে তা কিন্তু নয়। বরং ভেতর থেকেও ত্বক ভালো থাকবে সব সময়।
মেকআপ তোলা
এ কথাটা বারবার বলা হয়। কিন্তু কাজটা করা হয় কি? সারা রাত মুখে মেকআপ লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা প্রায়ই হয়ে যায়। বাহানা একটাই—ক্লান্তি। লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, অসমান জমিন ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে হয় শুধু মেকআপ না তোলার কারণেই। যতই ক্লান্ত থাকুন, মেকআপ তুলে ঘুমাতে যাবেন। লাভ আপনারই হবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
বাসা থেকে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। বয়সের আগেই বুড়িয়ে যাওয়া, ত্বকের রং অসমান হওয়ার পাশাপাশি রোদ থেকে ত্বকের অনেক ধরনের ক্ষতিও হয়ে যায়। বয়স কম থাকুক বা বেশি—সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। না হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।
ক্রিম লাগিয়ে বাকি কাজ
মুখের ত্বকে মেকআপ দেওয়ার আগে ভালো করে ক্রিম লাগিয়ে নিন। মেকআপ সরাসরি ত্বকের ওপর লাগানোও উচিত নয়। অন্য সব ক্ষতি বাদ দিন, মেকআপও কিন্তু ভালোভাবে বসে না চেহারায়।
পরিষ্কার ত্বকে ব্যায়াম
ব্যায়াম করার সময় আপনার ত্বক ক্ষতিকারক টক্সিনগুলো বের করে দেয়। ব্যায়াম করার সময় আপনার মুখে যদি মেকআপ লাগানো থাকে, তাহলে আপনার ত্বক নিশ্বাস ফেলার সময় সঠিকভাবে টক্সিন নির্গত করতে পারে না। ফলাফল পরবর্তী সময়ে ত্বকে নানা রকম ইনফেকশন দেখা দেয়।
স্বাস্থ্যসম্মত রুটিন
যত কাছের মানুষই হোক না কেন, মেকআপ ব্রাশ অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করার অভ্যাস থাকলে সেটা বন্ধ করুন। নিজের তোয়ালে ব্যবহার করুন। ভালো ও পরিষ্কার থাকার অভ্যাস না থাকলে ব্রণ হয়, ত্বক ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। আপনার নিজের দোষ-গুণেই কিন্তু এগুলো হবে।
এল ক্লাসিকোতেও নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার

এল ক্লাসিকোতেও নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার




নেইমারের জন্য অপেক্ষা করছে বড় শাস্তি?নেইমারের জন্য অপেক্ষা করছে বড় শাস্তি?বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম লাল কার্ড দেখলেন নেইমার। সেটিও এমন এক সময়ে, বার্সেলোনা যখন তাদের মৌসুমের সবচেয়ে টান টান সময়টায় ঢুকছে। নেইমারকে হারিয়ে ফেলার ধাক্কা কাল রাতেই ভালোমতো টের পেয়েছে বার্সেলোনা। মালাগার কাছে ২-০ গোলে হার লিগ শিরোপার স্বপ্ন অনেকটা ফিকে করে দিয়েছে। এই মুহূর্তে বার্সা–সমর্থকদের বড় প্রশ্ন—এল ক্লাসিকোতে নেইমার থাকবেন তো?
১৫ এপ্রিল রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচ বার্সার। এরপর এল ক্লাসিকো। ২৩ এপ্রিল বার্নাব্যুতে গিয়ে খেলতে হবে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। নেইমার আপাতত সোসিয়েদাদ ম্যাচটির জন্য নিষিদ্ধ। তবে তাঁর শাস্তির মাত্রা বাড়তেও পারে।
কাল নেইমার ২৭ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন। ৬৫ মিনিটে যখন লাল কার্ড দেখলেন, প্রথমেই প্রশ্ন উঠেছিল, এটা কি সরাসরি লাল কার্ড, নাকি দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের যোগফল? সরাসরি লাল কার্ড দেখার শাস্তি হলো দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ। কাল রেফারি গিল মানজানো অবশ্য নিশ্চিত করেছেন, সরাসরি লাল কার্ড নেইমার দেখেননি।
তবে তাতেও স্বস্তি মিলছে না বার্সা–সমর্থকদের। কারণ লাল কার্ড দেখার পর নেইমার যে বিদ্রূপের ভঙ্গি করেছেন, এতেই তাঁর শাস্তিটার মাত্রা বাড়তে পারে। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক এএস দিয়েছে এই খবর। ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে নেইমার চতুর্থ রেফারিকে উদ্দেশ করে হাততালিও দেন। এএস লিখেছে, নেইমার চতুর্থ রেফারির দিকে তাকিয়ে যে বিদ্রূপের ভঙ্গি করেছেন, তা শৃঙ্খলাবিধির ১১৭ নম্বর ধারায় অপরাধ। ম্যাচ কর্মকর্তাদের প্রতি অবজ্ঞা বা ঘৃণা প্রকাশ করা যাবে না। এর ফলে নেইমার আরও এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।
দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেই আর নেইমার এল ক্লাসিকো খেলতে পারবেন না। এমনিতেই গত ম্যাচের রেফারিং নিয়ে বার্সেলোনা ক্ষুব্ধ। নিষেধাজ্ঞার শাস্তি এড়াতে ম্যাচ শেষে লুইস এনরিকে যথেষ্ট হিসেব করে কথা বলেছেন। কারণ, তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করলে ডাগআউটে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারতেন। সেটি বার্সার জন্য হতো বিষফোঁড়া।

Thursday, April 6, 2017

বিশ্বের ভয়ংকরতম হ্যাকারদের শীর্ষ পাঁচ

বিশ্বের ভয়ংকরতম হ্যাকারদের শীর্ষ পাঁচ



বিশ্বের ভয়ংকরতম হ্যাকারদের শীর্ষ পাঁচ
প্রযুক্তি আর ইন্টারনেটের যুগে গোপনীয়তাকে নিরাপত্তা প্রদানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি মনে করেনক আপনি বিশ্বের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা গ্রহণ করেছেন, তবে ভুল করছেন। কারণ আপনি হয়তো এদের চেনেন না বা নাম শোনেননি। আসলে ইন্টারনেটে হুমকি মানেই হ্যাকারদের কথা চলে আসে। এখানে তাদের কথাই বলা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের বড় বড় ইন্টারনেট নিরাপত্তাবেষ্টনীতেও একটা যেন এক একজন মূর্তিমান বিভীষিকা। এখানে চিনে নিন বিশ্বের সব ভয়ংকর হ্যাকারদের সেরা পাঁচের কথা। এরা চাইলে এমন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই যা কিনা ভেদ করা সম্ভব নয় বলে ধরে নিতে পারেন।
৫. রবার্ট টাপ্পান মোরিস :

সেরা পাঁচের শেষেই বলা যায় রবার্ট টাপ্পান মোরিসের কথা। তিনিই কুখ্যাত 'মোরিস ওয়ার্ম' তৈরি করেছিলেন। সেই ১৯৮৮ সালে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। সেই সময় ৬ হাজার কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই ভাইরাসে। তিনিই প্রথম যাকে 'কম্পিউটার ফ্রড অ্যান্ড অ্যাবইউজ অ্যাক্ট' এর অধীনে অভিযুক্ত করা হয়।
৪. কোডি ক্রেটসিঙ্গার :

হ্যাকার দল 'লুলজসেক' এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অন্যান্য সদস্যদের কাছে তিনি 'রিকার্সিওন' নামে সুপরিচিত ছিলেন। ২০১১ সালে সনির প্লেস্টেশন হ্যাক করে তিনি ৭৭ মিলিয়ন মানুষের তথ্য হাতিয়ে নেন। টানা ২৪ দিনের জন্য সেই নেটওয়ার্কে বিভ্রাট সৃষ্টি করে রাখেন। তাকে অভিযুক্ত করা হয় ২০১৩ সালে। কোনো কর্মআদর্শ ছাড়াই স্রেফ খেয়াল বশে তিনি মারাত্মক সব হ্যাকিংয়ের কাজ করে বসেন। পয়সার লোভেও এসব করতেন না তিনি।
৩. জ্যাকব অ্যাপেলবাউম :

বিখ্যাত উইকিলিকস হ্যাকিংয়ের সঙ্গে যুক্ত তিনি। খারাপ অতীত কেটেছে তার। দত্তক সন্তান হিসাবে বেড়ে ওঠেন। পরে হেরোইনে আসক্ত বাবার কাছে ছিলেন। পরে কম্পিউটারে আসক্ত হন। পরে উইকিলিকস ঘটনার চেনামুখ হয়ে ওঠেন। ই-মেইল পাঠানোর পথ বদলে দিতেন তিনি। আমেরিকা থেকে ইরাকে কোনো ই-মেইল পাঠালে তার কল্যাণেই তা গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে আরো অনেক স্থান হয়ে তবেই ইরাকে পৌঁছতো।
২. কেভিন মিটনিক :

বিশ্বের ভয়ংকরতম হ্যাকারদের শীর্ষস্থান তার নাম আসতে পারে। তিনি এবং এ তালিকার পরেরজন নিঃসন্দেহে শীর্ষেই অবস্থান করেন। এখন তিনি সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। তিনি তার ক্লায়েন্টের প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেটে নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রদান করেন। আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট জাস্টিসের কম্পিউটারে অনধিকার প্রবেশ করে ১৯৯৫ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বলা হয়, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে তিনি চাইলে নিউক্লিয়ার মিসাইল আক্রমণ ঘটাতে পারতেন। বছর পাঁচেক জেল খাটার পর নিজেকে গুছিয়ে এনেছেন মূল ধারার ব্যবসায় এসে।
১. গ্যারি ম্যাককিনন :

মিটনিককে ছাপিয়ে গেলেন ম্যাককিনন। তিনি পেন্টাগনের কম্পিউটারগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন। ২০০১-২০০২ সালের মধ্যে আমেরিকার স্পর্শকাতর সময়ে তিনি ইউএস মিলিটারি আর নাসার কম্পিউটার হ্যাক করেন লন্ডনে নিজের গোপন স্থানে বসে। এসব কম্পিউটারের তথ্য মুছে দেওয়াসহ তাদের পাসওয়ার্ড বদলে দেন তিনি। সরকারবিরোধী মেসেজও লিখে দেন কম্পিউটারগুলোতে। হুমকি দেন যে, সর্বোচ্চ স্তেএর নিরাপত্তাব্যবস্থা ভাঙতেই থাকবেন তিনি। আরো মারাত্মক ঘটনা ঘটানোর আগেই তাকে থামানো হয়। সূত্র: ইন্টারনেট

 শুধু অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানতেন নাজমুল!

শুধু অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানতেন নাজমুল!


শুধু অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানতেন নাজমুল! আমরা জানতাম, অধিনায়ক হিসেবে এটিই ওর শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কিন্তু ঘোষণাটা কখন দেবে, সেটি পুরোপুরি ওর নিজের ওপরই নির্ভর করছিল। আমরা ভেবেছিলাম দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগেই মাশরাফি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেবে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি থেকেই অবসরের কথা কেন বলল, এটা আমি এখনো জানি না।
কলম্বো থেকে প্রতিনিধি : আগের দিন সন্ধ্যায় মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে তাঁর বিদায়ের বিষাদই ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সর্বত্র। আর পরদিন সকালে সেই অবসরের নেপথ্যের খবরের সন্ধানে বেরিয়ে পাওয়া গেল রীতিমতো চমকপ্রদ এক তথ্য। যেটি দিলেন খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান নিজেই। তিনি নাকি জানতেন যে মাশরাফি অধিনায়কত্বই ছাড়বেন শুধু, কিন্তু টি-টোয়েন্টি খেলাটা কিছুতেই নয়!
এ বিষয়ে বোর্ডপ্রধানের বক্তব্য, ‘আমরা জানতাম, অধিনায়ক হিসেবে এটিই ওর শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কিন্তু ঘোষণাটা কখন দেবে, সেটি পুরোপুরি ওর নিজের ওপরই নির্ভর করছিল। আমরা ভেবেছিলাম দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগেই মাশরাফি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেবে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি থেকেই অবসরের কথা কেন বলল, এটা আমি এখনো জানি না। ’
অবশ্য গত জানুয়ারির নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফির অবসরের খবরও নাজমুলের মুখেই পরিবেশিত হয়েছিল। যদিও নিজের দেওয়া সেই খবরকে পরে নিজেই ‘গুজব’ বলে অভিহিত করেও কম সাড়া ফেলেননি তিনি। প্রেক্ষাপট যেহেতু আগে থেকেই তৈরি করে রাখা, তাই এই প্রশ্ন ওঠাও অস্বাভাবিক নয় যে চাপের মুখেই সরে গেলেন না তো মাশরাফি?
নাজমুল দাবি করলেন কোনো চাপই ছিল না, ‘ওর ওপর অবসরের কোনো চাপই ছিল না। প্রশ্নই ওঠে না এটার। ’ সেই সঙ্গে আরো যোগ করেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে যা কথা হয়েছে, তাতে ওর শুধু নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা। এবং টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও থাকার কথা। এখন যদি ও ফিট থাকে, তাহলে আমরা কেন ওকে খেলাব না? গতকালও (প্রথম টি-টোয়েন্টিতে) সে সবচেয়ে ভালো বোলিং করেছে। নিজে থেকে খেলতে না চাইলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আমাদের তো ওকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ’
পারফর্ম যখন করছেন, তখন দলকে অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বও দিতে থাকা মাশরাফিকে অধিনায়কের পদ থেকে সরানোর প্রয়োজন কেন হলো? এ প্রশ্ন ওঠাও খুব স্বাভাবিক। নাজমুল পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভাবনার কথাই বলতে চাইলেন। যেটি ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা আছে। এত দিন দুই বছর পর পর হয়ে এলেও আইসিসি প্রতি চার বছরে একবার করার সিদ্ধান্তেও অবশ্য স্থির থাকতে পারেনি। আর্থিকভাবে লাভজনক খাত হওয়ায় দুই বছর পরই আবার হতে পারে। তাই হতে পারে ২০১৮ সালেও। যার আয়োজক হওয়ার সম্ভাবনা আছে দক্ষিণ আফ্রিকার।    
তবে যখনই হোক না কেন, নতুন অধিনায়কের অধীনে সেই বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরি করার চিন্তার কথাই বললেন নাজমুল, ‘সামনে আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। ওই সময়ে হয়তো মাশরাফি খেলবে না। সে হয়তো আগামী এক-দেড় বছর খেলবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নেতৃত্বে তাই পরিবর্তন আসতই। নতুন অধিনায়ক যাতে সময় নিয়ে দলটা গোছাতে পারে, সেই চিন্তাও ছিল আমাদের। ’
তবে এই চিন্তা যে খুব জরুরি ছিল না, সেটি পরে নিজের আরেক কথাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। মাশরাফির ওয়ানডে ভবিষ্যৎ নিয়ে জিজ্ঞাসার জবাবে তো বিদায়ী টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ক্যারিয়ার আরো লম্বাই দেখলেন তিনি। এই ফরম্যাটে অধিনায়ক বদলানোর কোনো পরিকল্পনাই নেই বলে যেমন জানালেন, তেমনি এটাও বলে দিলেন যে মাশরাফি যত দিন চাইবেন তত দিনই খেলবেন।
এমনকি মাশরাফি ২০১৯-এর ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেললেও অবাক হবেন না তিনি, ‘ওয়ানডে অধিনায়কত্বে পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। আমরা এক বছর আগে মনে করেছিলাম, মাশরাফির জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই হবে শেষ। এখন মনে হচ্ছে ও আরো অনেক বেশি দিন খেলতে পারবে। ও যত দিন ফিট থাকে খেলবে। স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার কোনো সুযোগই নেই। যখন সে অবসর নেবে, তখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে থাকবে। এটাই আমাদের ইচ্ছে। ’
আপাতত টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বটা নিয়ে ফেলার ইচ্ছেরই বাস্তবায়নই হলো শুধু!

ধীরগতির ইন্টারনেটের জন্য এলো ইউটিউব গো



ধীরগতির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের স্বচ্ছন্দে অনলাইনে ভিডিও দেখার সুযোগ দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইউটিউব গো’ অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে গুগল। গত সেপ্টেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাপটি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ইউটিউব অ্যাপের নতুন এ সংস্করণটি কাজে লাগিয়ে বন্ধুদের কাছে পছন্দের ভিডিও পাঠানোরও সুযোগ মিলবে। শুধু তা-ই নয়, ইউটিউব থেকে কোনো ভিডিও ডাউনলোডের জন্য কত ইন্টারনেট ডাটা খরচ হবে তা আগেভাগেই জানা যাবে।
ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ধীরগতির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখেই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল।
টেক প্রতিদিন ডেস্ক, সূত্র : ম্যাশেবল

Wednesday, April 5, 2017

রুবেলের জন্য মাশরাফির অবসর!

রুবেলের জন্য মাশরাফির অবসর!


বাংলাদেশের প্রাপ্তি রুবেলের ৭ উইকেট
স্পোর্টস ডেস্ক।। 
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার খানিক আগে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এর পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। মাশরাফির অবসর ঘিরে ছড়িয়েছে অনেক গুজব। অনেকে বলছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চাপের কারণেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন মাশরাফি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সফল নন, এ কারণেই অবসর—এমন কথাও বলছেন অনেকে। তবে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর সংবাদ সম্মেলনে সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে মাশরাফি জানালেন, নতুনদের জায়গা দিতেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের চিন্তাটা তাঁর মাথায় এসেছে।
নিজের অবসরের কারণ হিসেবে রুবেল হোসেনের প্রসঙ্গও টেনেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা এই অধিনায়ক। মাশরাফি মনে করছেন, ভালো খেললেও কেবল তাঁর কারণেই টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাচ্ছেন না রুবেল। নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া রুবেল জায়গা পাননি টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে। এটা বেশ কষ্ট দিয়েছে মাশরাফিকে।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেশসেরা এই অধিনায়ক বলেন, ‘অবসরের সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে কারণ, রুবেলের মতো বোলাররা জাতীয় দলে জায়গা পাচ্ছেন না। গত নিউজিল্যান্ড সিরিজে সে ৭ উইকেট নিয়েছে। অথচ এই সিরিজে দলে নেই সে। এটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। মনে হয়েছে, নতুনরা আমার জন্যই জায়গা পাচ্ছে না। তাই সিদ্ধান্তটা নেওয়া সহজ হয়েছে।’
মাশরাফি মনে করেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে রুবেল হোসেন তার চেয়ে ভালো বোলার। আমি না খেললে রুবেল অবশ্যই দলে জায়গা পেত। আমি ভেবেছি, নতুন ক্রিকেটার তৈরির এটাই সেরা সময়। তারা যেন নিজেদের তৈরি করার সময় পায়।’
মাশরাফি মনে করেন, টি-টোয়েন্টি তরুণদের খেলা। যেখানে সবাই শতভাগ ফিট থাকবে। দ্রুতগতির এই ফরম্যাটের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে নিতে তরুণদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের দল গঠন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের টি-টোয়েন্টি দলটা ভালো। বেশ কয়েকজন ভালো ক্রিকেটার আছে। নতুনরা দলে এলে দলের সমন্বয়টা ভালো হবে। আশা করছি, পরের বিশ্বকাপে এই দলটা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলবে।’
অধিভুক্ত সাত কলেজের নীতিমালা ফাঁস

অধিভুক্ত সাত কলেজের নীতিমালা ফাঁস

অবশেষে অধিভুক্ত সাত কলেজের নীতিমালা তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই নীতিমালা প্রকাশ করার আগেই ফাঁস হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর সাত কলেজ ঢাবির অধিভুক্ত হওয়ার পরীক্ষা ও পাঠ কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কার মধ্যে ছিল অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী। নীতিমালা তৈরিতে গত ১ এপ্রিল সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে বৈঠকে বসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু ওই বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকে গৃহীত নীতিমালার ফাঁস হওয়া একটি কপি পূর্বপশ্চিমের হাতে এসে পৌঁছেছে।
বৈঠকে মোট ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নীতিমালার কপি ঢাবির কলেজ পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে অধিভুক্ত কলেজগুলো পাঠানো হয়েছে। পাঠকদের জন্য নীতিমালাটি প্রকাশ করা হল-
০১. মাস্টার্স শেষ পর্ব, অনার্স ৩য় বর্ষ,ডিগ্রী (পাস) ১ম ও ৩য় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফরম পূরণ করেছে, কিন্তু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি, তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নতুন করে ফরম পূরণ করতে হবে। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে কোনো ফি নেওয়া হবে না।
পরীক্ষা কমিটি গঠন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ইত্যাদি কাজ কলেজ অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আলোচনা করে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
০২. যে সকল ছাত্র-ছাত্রীর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরর অধীনে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য কলেজ কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
০৩. যে সকল ছাত্রছাত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, যাদের ফলাফল স্থগিত আছে বা ফলাফল প্রকাশিত হয়নি, তাদের ফলাফল প্রকাশের দায় দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরর। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষগণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
০৪. কলেজে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ও রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা বিশেষ পরীক্ষায় ও গ্রেড উন্নয়ন করতে ইচ্ছুক.. তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
০৫. সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার বাদে অন্যান্য দিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করা হোক।
০৬. প্রত্যেক কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হোক। তবে এক কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্য কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
০৭. যে সকল শিক্ষার্থীর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে.. প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেওয়া সাপেক্ষে তাদের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হোক।
০৮. মাস্টার্স শেষ পর্ব ও ডিগ্রী (পাস) ১ম বর্ষে ভর্তির জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রনীত ২য় ও চূড়ান্ত অপেক্ষমান মেধা তালিকা প্রেরণের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অধ্যক্ষবৃন্দকে অনুরোধ করে রেজিস্ট্রার দপ্তর কর্তৃক পত্র প্রেরণ করা হোক।
০৯. কলেজ সমূহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তিকৃত ও রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারসহ অনান্য প্রয়োজনীয় তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করে ছাএছাএীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
১০. যে সব কলেজে ডিগ্রী (পাস) কোর্স চালু সেই সব কলেজ থেকে কোন ছাত্র-ছাত্রী বহিরাগত পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে ইচ্ছুক হলে, সেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মঅনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
১১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রণীত কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী আপাতত ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হোক। কলেজে প্রচলিত কোর্স সমূহের কোর্স দ্রুত সংশোধন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় করার যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
১২. কলেজগুলোতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণি, পাস কোর্স,ও মাস্টার্স কোর্সে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিওিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ গত ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।