Tuesday, April 25, 2017

এসএসসির ফল প্রকাশ ৪ মে

আগামী ৪ মে (বৃহস্পতিবার) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৪ মে সকাল ১০টায় তিনি এবং বোর্ডের চেয়ারম্যানরা ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে দেবেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট, নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোবাইলে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় মার্চের প্রথম দিকে।

Wednesday, April 19, 2017

৭ কলেজের ২ লাখ শিক্ষার্থী বিপদে

৭ কলেজের ২ লাখ শিক্ষার্থী বিপদে



৭ কলেজের ২ লাখ শিক্ষার্থী বিপদে
দীর্ঘদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজধানীর বড় সাতটি সরকারি কলেজ সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে। তবে এর পর থেকেই সংকটে পড়েছে এসব কলেজে অধ্যয়নরত প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী। অনেক শিক্ষার্থীরই রচনামূলক পরীক্ষা শেষ হয়েছে, কিন্তু কয়েক মাস ধরে আটকে আছে ব্যবহারিক পরীক্ষা। বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষারও নতুন করে কোনো তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না। কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গেলেও এখনো সিলেবাস বা পাঠ্যক্রমে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সিলেবাসবিহীন অবস্থায়ই পড়ালেখা করছে শিক্ষার্থীরা। ফলে তাদের সেশনজটে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এগুলো হচ্ছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্ত হওয়ার পর পরীক্ষা, ক্লাসসহ সার্বিক লেখাপড়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশীদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি তাঁদের বিভিন্ন বক্তব্যেও দ্বন্দ্বের বিষয়টি ফুটে ওঠে। সরকার যখন সরকারি কলেজ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দিতে চায় তখন থেকেই রাজধানীর নামি কলেজগুলো নিজেদের আয়ত্তে নিতে উঠেপড়ে লাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করে কোনো কোর্স কারিকুলাম বা পরিকল্পনা না করেই সাতটি কলেজ নিয়ে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এতে হঠাৎ সংকটে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
গত মাসে সরকারি তিতুমীর কলেজের এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘খাতা না দেখেই চূড়ান্ত ফল দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে তাদের শিক্ষার মান কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের আত্মীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক। তিনি একবার অনার্সের খাতা নিলেও অসুস্থতার কারণে দেখতে পারেননি। তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানান, দ্রুত যেন খাতা নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর পক্ষে খাতা দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু মাসখানেক পার হলেও কেউ খাতার ব্যাপারে খোঁজ নেয়নি। এর কিছুদিন পরেই ফলাফল দিয়ে দেওয়া হয়। অথচ তখন অদেখা অবস্থায় কয়েক শ খাতা ওই শিক্ষকের বাসায় পড়ে ছিল। এই হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার অবস্থা। ’
তবে ঢাবি উপাচার্যের এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিদ্বেষপ্রসূত বলে উল্লেখ করে তা প্রমাণের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে ঢালাওভাবে মনগড়া এরূপ বক্তব্য প্রদান একজন উপাচার্যের দায়িত্বশীল পদে আসীন ব্যক্তির পক্ষে কতদূর সমীচীন, তা কারো পক্ষে না বোঝার কথা নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যে একজন চরম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-বিদ্বেষী, তাঁর এ বক্তব্য থেকে সেটি স্পষ্ট। ড. আরেফিন সিদ্দিককে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো। অন্যথায় তাঁর এ ধরনের অসত্য, মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। ’
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে আমাদের নীতিনির্ধারণের কাজ চলছে। তবে অধিভুক্ত কলেজ আমাদের জন্য নতুন নয়। আগেও এই কলেজগুলো আমাদের অধীনে ছিল। ফলে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা সব কিছুই ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার চেষ্টা করছি। যাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি আছে শিগগির আমরা তা নেওয়ার চেষ্টা করব। আর নতুন পরীক্ষার তারিখও দ্রুত ঘোষণা করা হবে। ’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটা (সাত কলেজের অধিভুক্তি) সরকারি সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই ভালো জানে। তারা যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে। আমরা অনার্স চতুর্থ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা নিয়েছি, ব্যবহারিক নেওয়ারও সময় দেওয়া হলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আমাদের কাছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো প্রস্তুত করছি। প্রথম দিকে তো কিছুটা সমস্যা হবেই। আশা করি, আস্তে আস্তে সেটা তারা উতরে যবে। ’
জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ সালের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই, ৩ জানুয়ারি। শেষ হয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ব্যবহারিক শুরুর আগেই কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যায়। যদিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা অন্য কলেজগুলোর ব্যবহারিক পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত ও প্রাইভেট (নতুন সিলেবাস) এমএ, এমএসএস, এমবিএ, এমএসসি ও এম মিউজ শেষ পর্ব পরীক্ষার রুটিনও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে। ২০১৬ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষার সময়সূচিও ঘোষণা করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছে। তারা এই পরীক্ষায় অংশও নিতে পারছে না।
এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচিতে রাখা হয়নি অধিভুক্ত সাত কলেজ। ইতিমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্সের একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এই সাত কলেজের শিক্ষার্থী এতে অংশ নিতে পারেনি। এমনকি এসব কলেজের শিক্ষার্থীর তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার বলেন, ‘কিছুটা গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তা পূরণ করে ফেলবে। ’ সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু হায়দার আহমেদ নাসের বলেন, ‘এটা সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমাদের এখানে কিছুই বলার নেই। ’
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকাকালীন ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অনেকে এক বা একাধিক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হয়ে পরের বর্ষে প্রমোশন পেয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার আগে পূর্বের বর্ষের অনুত্তীর্ণ বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ না হলে ফল স্থগিত থাকে। এখন এ  ধরনের শিক্ষার্থী, যারা একাধিক বর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে, তারা কোন সিলেবাসে, কোথায় পরীক্ষা দেবে তা নিয়ে চরম বিভ্রান্তিতে আছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খুব শিগগির এসব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানও সম্ভব নয়।
ঢাকা কলেজের সমাজবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় বর্ষের একটি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছি। এখন আমার দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাটা কে নেবে? আর যদি এই পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন কারিকুলামে নেয় তাহলে আমি কিভাবে পরীক্ষা দেব? আর এমনিতেই আমরা প্রায় এক বছরের সেশনজটে আছি। এখন যদি পরীক্ষা শুরু করতে আরো দেরি হয় তাহলে বড় সেশনজটে পড়ে যাব। ’
জানা যায়, চলতি মাসেই শেষ হবে এইচএসসি পরীক্ষা। জুলাই থেকে শুরু হবে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া। এত দিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই সাত কলেজে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে ভর্তি করবে তা এখনো ঘোষণা করেনি। সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তাই এই সাত কলেজেও যদি ভর্তি পরীক্ষা নিতে হয় তাহলে অনেক বড় আয়োজন করতে হবে। আর এখনই যদি ভর্তি পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া না হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রস্তুতিও নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা ভর্তি নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
অধিভুক্ত কলেজগুলোর বিভিন্ন বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, তারা এখনো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস পড়ছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই সিলেবাস রাখবে, না নতুন করে দেবে তা এখনো বলেনি। আর একজন শিক্ষার্থীর অর্ধেক পড়ালেখা শেষে তাদের জন্য নতুন সিলেবাসে পড়ালেখা করাটা কঠিন।  
সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি অনার্স কোর্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদনান হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসেই আমি দুটি বর্ষ শেষ করেছি। এখন যদি আমাকে নতুন করে সিলেবাস দেয় তাহলে তার সঙ্গে তাল মেলানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির দুই মাস পার হয়ে গেলেও আমরা নতুন কোনো পাঠ্যক্রম বা নির্দেশনা পেলাম না। এতে খুবই চিন্তায় আছি। আর নতুন সিলেবাস এলে নির্ঘাত আমাদের রেজাল্ট খারাপ হবে। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? তাই আমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই থাকি না কেন আমাদের যেন পুরনো সিলেবাসেই লেখাপড়া শেষ করার সুযোগ দেওয়া হয়। ’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ৪৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে। এর ওপর যোগ হয়েছে আরো সাত কলেজের দুই লাখ শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া, খাতা দেখা, ফল প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি, ফরম পূরণ, একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাদের বড় ধরনের জনবল দরকার। কিন্তু এই আয়োজন এখনো শুরুই করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
নাম প্রকাশ না করে রাজধানীর একটি সরকারি কলেজের একজন বিভাগীয় প্রধান বলেন, ‘সাধারণত কোনো কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। এই সাত কলেজের ক্ষেত্রেও একই কাজ করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখা উচিত ছিল, এই সাত কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখ। তাদের বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে। ফলে এত শিক্ষার্থীকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে বেশ বেগ পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি ঘোষণার পরবর্তী বর্ষে যারা ভর্তি হবে তাদেরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হতো তাহলে আর কোনো সমস্যা হতো না। ’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীর সাত কলেজ অধিভুক্ত হয়েছে। তাই পুরো কাজটা তাদেরই, এখানে আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই। কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গেলে কী হবে আর না গেলে কী হবে—এ বিষয়ে আমরা আগেই মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।   দুই লাখ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গেলে তাদের জনবল, টাকা-পয়সা কী লাগবে সেটাও প্রতিবেদনে আছে। এত শিক্ষার্থী সামাল দেওয়া, পরীক্ষা নেওয়া, খাতা দেখা তো চাট্টিখানি কথা নয়। ’
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার নির্দেশ দেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রায় দুই হাজার ১৫০টি কলেজে ২১ লাখ শিক্ষার্থী থাকলেও সরকারি ১৮৪টি কলেজেই অধ্যয়ন করে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী। সরকারি কলেজ পৃথক করার এই সিদ্ধান্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সময় আপত্তি জানিয়েছিল। তবে টেকেনি। গত বছরের ২৮ অক্টোবর এক সভায় অধিভুক্ত সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৮৪টি কলেজকে ভাগ করে দিতেও সুপারিশ করে এ বিষয়ে গঠিত কমিটি। এর মধ্যে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীর সাত কলেজ দেওয়া হয়। যদিও বাকি ১৭৭টি কলেজকে এখনো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেওয়া হয়নি।  
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) আব্দুল্লাহ আল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাত কলেজের দায়িত্ব যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে তাই পুরো দায়দায়িত্বই তাদের। তাদেরই উচিত এ ব্যাপারে দ্রুত করণীয় ঠিক করা। ’

Tuesday, April 18, 2017

খাগড়াছড়িতে হরতাল চলছে

খাগড়াছড়িতে হরতাল চলছে



খাগড়াছড়িতে হরতাল চলছে
মোটরসাইকেল চালক মো. ছাদিকুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অব্যাহত চাঁদাবাজির প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে। পাহাড়ে বাঙালির অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পাবর্ত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ এ হরতালের ডাক দেয়।
হরতাল চলাকালে বুধবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে খাগড়াছড়ি উন্নয়ন বোর্ড সড়কের সামনে পিকেটাররা একটি ট্রাক ভাঙচুর করলে পুলিশ পিকেটারদের ধাওয়া ধরে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় তিন পিকেটারকে আটক করলেও পরে তাদের ছিনিয়ে নেয়া হয়।
হরতাল সমর্থনে সকাল থেকেই খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। তবে হরতালকে ঘিরে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সকাল সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ওসি তারেক মো. আবদুল হান্নান।
এদিকে হরতাল চলাকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী নৈশকোচগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় জেলা শহরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। জেলা সদর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দুরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে আভ্যন্তরীণ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল। হরতালের কারণে জেলা ও উপজেলার সকল হাট বাজারে সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল অপহরণের তিন দিন পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মাটিচাপা অবস্থায় রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলার ঘিলাছড়ি থেকে খাগড়াছড়ির মহালছড়ির মোটরসাইকেল চালক মো. ছাদিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

Sunday, April 9, 2017

অন্য ভূমিকায়

অন্য ভূমিকায়


শচীন টেন্ডুলকারশচীন টেন্ডুলকারপরনে ট্রাফিক পুলিশের খাকি পোশাক। মুখে বাঁশি, হাতে লাঠি। শচীন টেন্ডুলকারকে এভাবে দেখতে কেমন লাগবে? ঠিক এভাবে নয়, তবে হঠাৎ করেই ভারতের এক রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় দেখা গেছে ভারতের সাবেক এই ব্যাটসম্যানকে। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় সোনা ফলে। হোক তা ক্রিকেট, শিক্ষা প্রচারাভিযান কিংবা সমাজের দলিত মানুষের উন্নয়নকাজ। সবকিছুতেই যখন সফল, তাহলে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টিই বা বাদ যাবে কেন! কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিও দিয়েছেন। এখানেই দেখা মিলল নতুন ভূমিকার টেন্ডুলকারের। ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল তাঁর গাড়ি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না। টেন্ডুলকার তাঁকে হেলমেট পরতে অনুরোধ করেন। এরপর আরও কয়েকজনকেও করেন একই অনুরোধ। তরুণ মোটরসাইকেল আরোহীরা টেন্ডুলকারের কথা তো শুনলেনই, তাঁর সঙ্গে সেলফিও তুললেন। এনডিটিভি
মাঝরাতে ফেসবুক বন্ধ হলে কী হতে পারত

মাঝরাতে ফেসবুক বন্ধ হলে কী হতে পারত

য় যদি ফেসবুক বন্ধ থাকে, তাহলে সেলফিজীবীরা সেগুলো প্রিন্ট করে ওয়ালে, অর্থাৎ বাসাবাড়ির দেয়ালে পোস্ট করবে। তাতে বিলবোর্ড ভাড়ার মতো দেয়াল ভাড়া শিল্প গড়ে উঠবে।

এঁকেছেন শিখাএঁকেছেন শিখাঅভিজ্ঞতায় দেখা যায়, রাতে মানুষের উচ্চমার্গীয় চিন্তাচেতনার উদ্ভব হয়। আমাদের যুবসমাজ ‘ভোর’ ১০-১১টায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ‘সন্ধ্যা’ ৯-১০টা পর্যন্ত কঠোর সাধনায় ব্যস্ত থাকে। সুতরাং রাত ১২টার পর থেকে তাদের ‘দুনিয়াটা কী থাইকা কী হয়া গেল! চারপাশে খালি আজাইরা গুটিবাজ’-টাইপের স্ট্যাটাসে টাইমলাইন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। এ সময় ফেসবুক বন্ধ থাকায় যদি এত ভারী কথা আটকে থাকে, তাহলে সেগুলো দিনের বেলায় কথার মাধ্যমে আমজনতার কর্ণকুহরে ডেলিভারি হবে। ফলে দেশ বুদ্ধিজীবীর আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে।
এই, পান্থপথ যাবা?
অ্যাঁ...পান্থপথ? কী আজব নাম, দেখছেন? পান্থ মানে পথিক, পথিকের পথ। তার মানে হাঁইটা যাইতে হইব।
এঁকেছেন শিখাএঁকেছেন শিখাসারা দিন মেমোরিভর্তি সেলফি তুলে রেখে সেগুলো বাছাই, এডিটিং শেষ করে রাতে প্রোফাইল পিকচার, টাইমলাইন ফটো হিসেবে আপলোড করা হয়। আর আপলোডের সময় যদি ফেসবুক বন্ধ থাকে, তাহলে সেলফিজীবীরা সেগুলো প্রিন্ট করে ওয়ালে, অর্থাৎ বাসাবাড়ির দেয়ালে পোস্ট করবে। তাতে বিলবোর্ড ভাড়ার মতো দেয়াল ভাড়া শিল্প গড়ে উঠবে।
আঙ্কেল, দেখেন রেটটা একটু কমানো যায় কি না। মানে আমরা ছাত্র মানুষ, বাজেট কম...
দেয়ালে রেট কম-সম নাই, তোমাদের আগে দুইটা গ্রুপরে ফিরায়া দিছি। অবশ্য ওই আমগাছটায় লাগাইলে একটু কম রাখমুনে।
এঁকেছেন শিখাএঁকেছেন শিখাদীর্ঘদিন রাতজাগার অভ্যাসের কারণে তরুণ ও যুবসমাজ রাতে ঘুমাতে পারে না। অথচ ফেসবুক না থাকলে সময় কাটবে কীভাবে? শেষে বিকল্প হিসেবে তারা বুক, অর্থাৎ সত্যিকারের বই ফেস করবে এবং দেশে বইয়ের পাঠকসংখ্যা বোল্টের গতিতে বাড়বে।
কী রে, বইকে পোক করছিস নাকি?
আরে নাহ্, ছবিটা সুন্দর লাগছে, ডাউনলোড দিতে চাচ্ছি, কিন্তু অপশন আসতেছে না!
এঁকেছেন শিখাএঁকেছেন শিখামাঝেমধ্যেই আমাদের দেশীয় রোমিওদের অসাধারণ নৈপুণ্যে সত্যিকারের জুলিয়েটরা নানান দেশ থেকে চলে আসেন। আর সবার কাহিনি ‘জানা গেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয়, অতঃপর...’ ফরম্যাটের। বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগটা সাধারণত রাতেই হয়ে থাকে। অথচ এই মোক্ষম সময়ে ফেসবুক বন্ধ থাকলে এ রকম আন্তর্জাতিক প্রণয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
দোস্ত, কিসের চিন্তা করিস? তোর আমেরিকান গার্লফ্রেন্ড কবে আসবে কিছু বলছে?
মন-মেজাজ ভালো না। ও আসলে ইন্ডিয়ান, ভুয়া পরিচয় দিছে এপ্রিল ফুল বানানোর লাইগা। তাই তো কই, এখানে যখন দিন, তখন সে অ্যাকটিভ থাকে ক্যান?
এঁকেছেন শিখাএঁকেছেন শিখাঅভ্যাসবশত স্ট্যাটাস বা সেলফি আপলোড করতে না পারলে অনেকেই ঝামেলায় পড়ে যাবেন। আর তাই ফেসবুক ওয়ালের অভাব ঘোচাবেন তাঁরা ঘরের ওয়াল ব্যবহারের মাধ্যমে। চাহিদা বেড়ে যাবে রংমিস্ত্রিদের।
দুই দিন আগেই না ঘরটা রং কইরা দিয়া গেলাম!
আর বইলেন না, ভাই! পুরানা অভ্যাস তো, সহজে কি ছাড়া যায়, বলেন?
এঁকেছেন শিখাএঁকেছেন শিখাআমাদের দেশের উর্বর মাটির সন্তানদের মস্তিষ্কও এতই উর্বর যে নানান কিসিমের অসাধারণ যোগ্যতা দ্রুত গজিয়ে যায়। যেমন ফেসবুক আইডি হ্যাক করা, ঘরে বসে মিনিটে হাজার টাকা ইনকাম পদ্ধতি উদ্ভাবন, ২৪ ঘণ্টা লাইক দেওয়ার সক্ষমতা ইত্যাদি। সরকার ফেসবুক বন্ধ রাখবে আর এই মেধাবী জনগোষ্ঠী যোগাসনে বসে বসে দেখবে, তা হতে পারে না। তথ্যপ্রযুক্তিকে প্যাঁচে ফেলে তারা বিকল্প পদ্ধতিতে ফেসবুক ব্যবহার-তত্ত্ব দেশ ও দশের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে।
শোনেন, এইটা অনেকটা ঘরের সিঁদ কাইটা ঢোকার মতো ব্যাপার। প্রক্সি সার্ভার... আইএসপি... ভিপিএন...বকবক।
ভাইজান, এখানে যিনি বসেন, তিনি কে? কোনো সাইনবোর্ড তো দেখলাম না।
উনি বিশিষ্ট ‘ফেসবুকেট’, বন্ধ থাকার পরও পল্টি দিয়া ফেসবুকিংয়ের রাস্তা বাতলায়া দেন।
দুনিয়া জুড়েই বাড়ছে অবসাদ, বদল ঘটান কয়েকটি অভ্যাসে

দুনিয়া জুড়েই বাড়ছে অবসাদ, বদল ঘটান কয়েকটি অভ্যাসে

Depression
অর্জুন ভরদ্বাজ। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র। বয়স ২৩। সোমবার মুম্বইয়ের একটি হোটেলের কুড়িতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিল অর্জুন।
অর্জুনের মতোই অনেক তরতাজা মানুষের আত্মহত্যার কাহিনি এখন প্রায়শই শোনা যাচ্ছে। এ দেশেই শুধু নয়, এখানকার গণ্ডি ছাড়িয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ার নানা প্রান্তে। পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু)।
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গোটা দুনিয়া জুড়েই মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষজনের সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে হু। সংস্থার ডিরেক্টর, মার্গারেট চ্যান বলেন, “মনোস্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। এই পরিসংখ্যান দুনিয়ার সব দেশের জন্যই আশঙ্কাজনক। ফলে এই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।”
আরও পড়ুন
আপনার বয়স কত? জেনে নিন সুস্থ থাকতে কতটা ঘুমের প্রয়োজন
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বে প্রতিবন্ধকতার অন্যতম কারণ হয়ে উঠবে মানসিক অবসাদ। মনোস্বাস্থ্যের অবনতির জন্য ধীরে ধীরে বাড়ছে আত্মহত্যার মতো ঘটনা। সারা বিশ্বের গরিব ও মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলিই এতে সবচেয়ে বেশি করে ভুগছে। বিদেশেই নয়, ঘরের ছবিটাও কম আশঙ্কার নয়। গত ২০১৫-র পরিসংখ্যান তুলে ধরে হু জানিয়েছে, এ দেশে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ অবসাদ ভোগেন। সেই সঙ্গে উৎকণ্ঠাজনিত সমস্যায় ভুগছেন আরও তিন কোটি ভারতীয়।
এ নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় সরকারও। মনোস্বাস্থ্য নিয়ে আমূল সস্কারের ইঙ্গিত দিয়ে গত মাসেই সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে নতুন  মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা বিল, ২০১৬। সেই  আইন কার্যকর হলে, আত্মহত্যা আর অপরাধ হিসাবে গন্য হবে না।
আরও পড়ুন
• মানসিক অবসাদ কী?
মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষেরা দীর্ঘ সময় ধরেই মনোকষ্টে ভোগেন। তাতে বদল ঘটে তাঁদের আচার-আচরণ, অনুভূতিতে। দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটায় সার্বিক ভাবে ভাল থাকা আর হয়ে ওঠে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক প্রজন্মের জীবনযাত্রার তাল অতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। তাতে প্রভাব পড়ছে সার্বিক স্বাস্থ্যে। অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবার থেকে শুরু করে অনিয়মিত জীবনযাপনও এর জন্য দায়ী।

মানসিক অবসাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে বেশ কয়েকটি অভ্যাসে বদল ঘটানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কী কী কারণে অবসাদ বাড়তে পারে?
• একসঙ্গে অতিরিক্ত খাওয়া
খিদে চেপে রেখে অসময়ে বেশি পরিমাণ খাওয়ার অভ্যাস বিপদ ডেকে আনছে অনেকের। এতে শরীরে যেমন মেদ জমার পাশাপাশি মনেও বিষাদের ভার চাপছে। ওজন বাড়ার দরুণ হীনমন্যতায় ভুগছেন তাঁরা। তাতেও মানসিক ভাবে অবসাদ বাড়ছে।
• চাপের কাছে নতিস্বীকার করা
দৈনন্দিন জীবনে স্ট্রেস বাড়ার ফলেও প্রভাব পড়ছে মনোস্বাস্থ্যে। সামান্য স্ট্রেস ভাল হলেও অতিরিক্ত চাপে ভেঙে পড়ছেন অনেকেই। স্ট্রেস বাড়ায় শরীরের সেরোটনিন নামে এক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ কম হচ্ছে। আর তাতে অবসাদ বাড়ছে। কারণ, হ্যাপিনেস হরমোন নামে বেশি পরিচিত এই রাসায়নিক আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার পিছনেও অনেকাংশে দায়ী।
• ইন্টারনেট আসক্তি
কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভারসিটির এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মানসিক অবসাদ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। নেট দুনিয়ার আসক্তির ফলে প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। ফলে সামাজিক পরিবেশ থেকেও সরে আসছেন তাঁরা।
• দিনের বেলা ঝিমোতে থাকা
মানসিক অবসাদের একটি অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাব। অবসাদগ্রস্ত মানুষেরা  দিনের বেলাতেও ঝিমোতে থাকেন। এর পিছনে রয়েছে রাতে পর্যাপ্ত না ঘুমোনো বা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা।

• শারীরিক কসরত না করা
 কাজের চাপেই হোক বা অনীহার কারণে, শারীরিক কসরত না করলেও তাতে বাড়তে পারে মানসিক অবসাদ।
• তেল-মশলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া
অনেকেই জাঙ্ক ফুড বা অন্যান্য ফ্যাটি ফুড এড়িয়ে থাকতে পারেন না। হাই-ফ্যাট ডায়েটের ফলে আচার-আচরণেও বদল ঘটতে পারে। এমনকী মস্তিষ্কের প্রদাহও হতে পারে। তাতে বাড়তে পারে অবসাদ।
নিজেরই এই ৫ বদভ্যাস হতে পারে আপনার অবসাদের কারণ

নিজেরই এই ৫ বদভ্যাস হতে পারে আপনার অবসাদের কারণ

depression
চারপাশে ক্রমশই বেড়ে চলেছে অবসাদ। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা অবসাদ। আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকী নিজেরাও কখনও অবসাদে ভুগি। কখনও নিজেরা বুঝতেও পারি না ঠিক কী কারণে হচ্ছে অবসাদ। অনেক সময়ই আমাদেরই কিছু বদভ্যাস হয়ে ওঠে অবসাদের কারণ। যদি আপনার থেকে থাকে এই অভ্যাসগুলো তা হলে অবশ্যই কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।
১। ধূমপান ও মদ্যপানের নেশা
কাজের চাপ, স্ট্রেস, সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে হওয়া মানসিক চাপ কাটাতে অনেকেই ধূমপান বা মদ্যপানের মধ্যে মুক্তি খোঁজেন। এই সব নেশাই কিন্তু এক সময় মাথায় চেপে বসে এবং নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে নেশা অবসাদ ডেকে আনে।
২। নিজেকে একা করে নেওয়া
নিউক্লিয়াস ফ্যামিলি, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান, প্রতিযোগিতার কারণে অনেকেই ছোট থেকে একা থাকতে অভ্যস্ত হন। বড় হয়েও তারা অনেক সময়ই পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এই একাসেরে অভ্যাস কিন্তু চাপা অবসাদ ডেকে আনে।

আরও পড়ুন: এই কারণগুলোর জন্যই আপনার ফ্রোজেন ফল, সব্জি কেনা উচিত

৩। অতিরিক্ত নিউজ ফিড দেখা
আপনি কি খবর পড়তে, সব সময় আপডেটেড থাকতে ভালবাসেন? সেই কারণেই সারা দিন টিভিতে খবর দেখেন বা নিজের ফোনে নিউজ ফিড সার্চ করে চলেন। এটা কিন্তু একটা নেশা। কিন্তু মনে রাখবেন, আমাদের চারপাশের বেশির ভাগ খবরই কিন্তু নেগেটিভ। ক্রমাগত দুর্ঘটনা, খুন, ধর্ষণ, বিস্ফোরণের খবর দেখতে দেখতে কিন্তু আমাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যা আমাদের ভাবনা-চিন্তাকে নেতিবাচক করে দেয়। ফল হয় অবসাদ।
৪। অতিরিক্ত বা অস্বাস্থ্যকর খাওয়া
যখনই মুড অফ হয় বা রাগ হয় বা একঘেয়ে লাগে, তখন অনেকেরই অভ্যাস থাকে মিষ্টি খাওয়ার। কেউ কেউ চকোলেট, কুকিজ, আইসক্রিম খেয়ে রাগ কমান। অতিরিক্ত চিনি ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে এই সব খাবার মুড ভাল করে দিতে পারে। কিন্তু এই সব কমফর্ট ফুডই হয়ে ওঠে ওজন বাড়া, ডায়াবেটিস বা অবসাদের অন্যতম কারণ।
৫। অতীতেত ভুলের জন্য অনুতাপ করা
মনোবিদরা একে বলেন ‘রুমিনেশন।’ অতীতে কোনও ভুল করেছেন বা আপনার সঙ্গে কোনও অন্যায় হয়েছে তা ভেবে বর্তমানেও কষ্ট পাওয়া, অনুতাপ করা। বার বার প্রশ্ন করা কেন আমার সঙ্গেই হল? অতীতকে কখনই বদলাতে পারবেন না। কিন্তু বার বার এ ভাবে ভাবতে ভাবতে বর্তমানকেও অস্বীকার করছেন, ভবিষ্যতকেও ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারবেন না। ফলে অবসাদ বাড়তেই থাকবে।
৪০০ বছর পর বিশাল গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে!

৪০০ বছর পর বিশাল গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে!

ASTEROID

এই সেই গ্রহাণু, যা ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে...

সুবিশাল একটা গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড ছুটে আসছে আমাদের দিকে। প্রায় উল্কার গতিতে! সেই বিশাল গ্রহাণুটি আদৌ কৃষ্ণ কালো নয়! বরং চাঁদ যতটা আলো তার পিঠ থেকে ঠিকরে দেয়, তার দ্বিগুণ আলো ঠিকরে দিতে পারে এই গ্রহাণুটি। হুশ‌্ করে সেই গ্রহাণুটি এসে পড়বে নববর্ষের পরপরই। আর, তা পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে ১৯ এপ্রিল। গত ৪০০ বছরে এই গ্রহাণুটি এত কাছে আসেনি পৃথিবীর। আগামী ৫০০ বছরে আর এত কাছে আসবেও না।
গ্রহাণুটির নাম- ‘২০১৪-জেও-২৫’। মাত্র তিন বছর আগে, ২০১৪-য় আরিজোনার টাকসনে ক্যাটলিনা স্কাই সার্ভে টেলিস্কোপ দিয়েই প্রথম এই বিশাল গ্রহাণুটির হদিশ পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হিসেব কষে যেটুকু বোঝা গিয়েছে, তাতে চেহারায় ওই গ্রহাণুটি হবে প্রায় ২ হাজার ফুট বা ৬৫০ মিটার। তার মানে, কোনও ঘরের উচ্চতা যদি হয় ১০ ফুট, তা হলে প্রায় ২০০ তলা বাড়ির মতো চেহারা ওই গ্রহাণুটির।
তবে গ্রহাণুটি খুবই ঝকঝকে, উজ্জ্বল। অবশ্যই তা নিজের আলোয় নয়। সূর্যের আলো তার পিঠে পড়লে তা অনেকটাই প্রতিফলিত হয়। আর সেই প্রতিফলনের মাত্রাটা কত, জানেন? চাঁদ থেকে যতটা আলো প্রতিফলিত হয়, তার দ্বিগুণ। তাই অত ঝকঝকে, অত উজ্জ্বল এই গ্রহাণুটি।
তবে নাসা জানাচ্ছে, গ্রহাণুটি কী পদার্থ দিয়ে তৈরি, তার সারফেস বা পিঠটা কেমন, সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু জানা যায়নি। এমনকী, সেই গ্রহাণুটির ট্র্যাজেক্টরি বা গতিপথ ঠিক কী রকম, সেটাও এখনও পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা সম্ভব হয়নি। শুধু হিসেব কষে এটুকু জানা গিয়েছে, ১৯ এপ্রিল সেটি যখন আমাদের সবচেয়ে কাছে আসবে, তখন পৃথিবী থেকে সেটি থাকবে ১১ লক্ষ মাইল বা ১৮ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। তার মানে, চাঁদ যতটা দূরে রয়েছে পৃথিবীর, তার সাড়ে ৪ গুণ দূরত্বে পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে আমাদের নিরাপদে রেখেই চলে যাবে গ্রহাণুটি। টেলিস্কোপে দেখা যাবে সেই গ্রহাণুটিকে।
চোখের ওপর শসার টুকরা দিলে যা হয়

চোখের ওপর শসার টুকরা দিলে যা হয়




চোখের ওপর শসার টুকরোচোখের ওপর শসার টুকরোফেশিয়াল বা রূপচর্চার অংশ হিসেবে অনেকেই চোখের ওপর শসার টুকরো দিয়ে রাখেন। কিন্তু এই শসার টুকরো কিছুক্ষণ চোখের ওপর রেখে দিলে কী উপকার, তা কি জানেন?
শসায় অনেক দরকারি ভিটামিন ও খনিজ আছে। এতে থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান থাকে। এ ধরনের উপাদান শরীরের জন্য যেমন দরকারি, তেমনি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও কার্যকর। চোখের যত্নে অন্যতম কার্যকর উপাদান হিসেবে মনে করা হয় শসাকে। শসায় থাকা প্রদাহনাশক উপাদান চোখের ফোলা ভাব দূর করতে পারে। এ ছাড়া এতে জলীয় অংশ বেশি থাকায় চোখের শুষ্ক ভাব দূর করে। চোখের ক্লান্তি দূর করতে এবং সতেজ ভাব আনতে সাহায্য করে শসা। চোখে শসা ব্যবহার করার পাঁচ উপকার:
১. শসায় আছে অ্যাসকরবিক ও ক্যাফেইক অ্যাসিড, যা চোখের চারপাশে ফোলাভাব কমায়। শসা কেটে আগে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এটি ব্যবহারে চোখ বিশ্রাম পাবে। মিলবে চোখের আর্দ্রতা।
২. শসার জুসে আছে ফাইটোকেমিক্যাল যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন হচ্ছে আঁশের মতো একধরনের প্রোটিন, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার জন্য দায়ী এবং এটি সেলুলাইট দূর করে।
৩. শসায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সিলিকা, যা ত্বকের ডার্ক সাকেল বা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। শসা ব্যবহারে এই কাল দাগ সাময়িক দূর হলেও এটি স্থায়ী সমাধান নয়। তবে চোখের চারপাশে কালো দাগ আস্তে আস্তে হালকা করে শসা। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও শসা গুরুত্বপূর্ণ।
৪. শসা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। চোখের চারপাশের যে চামড়া থাকে, তা পুরো শরীরের মধ্যে সবচেয়ে পাতলা। চোখের চারপাশে শসা দিয়ে রাখলে এই ত্বক আর্দ্র হয়। এতে ত্বক কুচকে যাওয়া বা বলিরেখা দূর হয়।
৫. চোখের নিচে চামড়া ঝুলে পড়া ঠেকাতে সাহায্য করে শসা। শসার পেস্ট পানিয়ে তাতে মধু, ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে চোখের নিচে হালকা করে লাগিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। পরে ভেজা কাপড় দিয়ে তা মুছে ফেলতে হবে। এতে চোখ ফোলা ভাব কমবে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
এখন ইউটিউবে অর্থ আয় করতে হলে...

এখন ইউটিউবে অর্থ আয় করতে হলে...



ইউটিউব চ্যানেলগুলোর জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চালু করেছে গুগল।ইউটিউব চ্যানেলগুলোর জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চালু করেছে গুগল।ইউটিউবে চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে অর্থ আয় করা যায়। এত দিন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে খুব সহজে অর্থ আয় করার সুযোগ থাকলেও এবারে যথেষ্ট কঠোর হচ্ছে গুগল কর্তৃপক্ষ। ইউটিউব গুগলের ভিডিও সেবা।
এত দিন ইউটিউবে চ্যানেল খুলে এক ভিডিওর নামে অন্য ভিডিও দিয়ে দর্শকদের ধোঁকা দেওয়ার প্রবণতা ছিল। ‘ভিউ’ বাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে অনেক চ্যানেলেই আপত্তিকর কনটেন্ট দেখা গেছে। অনেক সময় ভিডিওর থাম্বনেইলে এক আকর্ষণীয় বিষয়, কিন্তু ভেতরে থাকে বিরক্তিকর ভিডিও। এতে যেমন দর্শক ওই ভিডিওতে বিরক্ত হন, তেমনি বিরক্ত হন বিজ্ঞাপনদাতারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে গুগল কর্তৃপক্ষ ইউটিউব চ্যানেলগুলোর জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চালু করেছে। এ ছাড়া যেসব চ্যানেলে ১০ হাজারের কম ভিউ রয়েছে, সেগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে। গুগল কর্তৃপক্ষ বলছে, আপত্তিকর ও পাইরেটেড ভিডিও প্রদর্শন করে অর্থ আয়ের সুবিধা বন্ধ করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
এর কারণ হচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট বা ভিডিওর জন্য গুগলের ইউটিউবে বিজ্ঞাপন বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ড। বিষয়টি নিয়ে গুগল বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে। ব্র্যান্ডগুলো মনে করছে, ইউটিউবের আপত্তিকর ভিডিওতে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানো হলে মানুষ ওই ভিডিওর সঙ্গে তাদের ব্র্যান্ডের তুলনা করবে।
বিজ্ঞাপন দেখানোর নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পণ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিয়েল বারডিন বলেন, ‘নতুন মান নির্ধারণ করার ফলে কোনো চ্যানেলের বৈধতা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য থাকবে। কমিউনিটি গাইডলাইন বা বিজ্ঞাপন নীতিমালা মানা হচ্ছে কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বারডিন বলেছেন, যাঁরা অর্থ আয় করার লক্ষ্যে নতুন করে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন, (নিউ ক্রিয়েটরস) তাঁদের জন্য পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে গুগলের।
যখন কোনো চ্যানেলের ভিউ বা ভিডিও দর্শক ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে, তখন ওই চ্যানেলের ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। যদি ওই ভিডিও ইউটিউবের কোনো নীতিমালা ভঙ্গ করে, তখন আর বিজ্ঞাপন পাবে না। এই প্রক্রিয়ার ফলে এখন থেকে শুধু প্রকৃত ও নিয়মনীতি অনুসরণকারী ভিডিও নির্মাতারাই আয়ের সুযোগ পাবেন।
গুগলের এখন বিজ্ঞাপনদাতাদের খুশি করা ও ভিডিও নির্মাতাদের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি নতুন একধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত সিস্টেম তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিও নীতিমালা মানতে বাধ্য করা হবে। এতে বিজ্ঞাপনদাতাদের চোখে আপত্তিকর ভিডিওগুলোকে বাছাই করতে সুবিধা হবে। এতে বিজ্ঞাপনদাতাদের পছন্দ প্রতিফলিত হবে।
এ ছাড়া বিজ্ঞাপনদাতাদের বিজ্ঞাপন যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত চ্যানেলে পোস্ট না হয়, তা খেয়াল করতে থার্ড পার্টির সঙ্গে কাজ করবে গুগল। ইউটিউব ভিডিওতে যাতে চরমপন্থী বিষয়বস্তুর সঙ্গে বিজ্ঞাপন না দেখায়, সে ভয়ে বিজ্ঞাপনদাতারা পিছু হটছে। তাই বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ দিচ্ছে গুগল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে টাইমস নিউজপেপার অব লন্ডন ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিলে প্রথম ধাক্কা খায় গুগল। পরে এটিঅ্যান্ডটি, ভেরিজনের মতো প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিয়েছে। এরপর থেকে বিজ্ঞাপন নীতিমালার ক্ষেত্রে কঠোর হয়েছে গুগল। এখন তাই ইউটিউব চ্যানেল খুলে অর্থ আয় করতে গেলে প্রকৃত কনটেন্ট সরবরাহ করে দর্শক টানতে হবে। তা না হলে চ্যানেলের জন্য অর্থ দেবে না গুগল। তথ্যসূত্র: এএফপি।