শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। হারটা আরও বড় হতে পারত। লঙ্কানদের ৩৫৫ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৩৯ রান হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেই সময়ই মাশরাফি নেমে ম্যাচটা প্রায় নিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের দিকে। ৩৫ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫৮ রান করলেন। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ১০১ রানের জুটিতে দল তো প্রায় জিতেই গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে ফিরতে পারলেন না। ৪৯তম ওভারে তাঁর ফেরাই শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
তবে সীমিত ওভারের সিরিজে তিনি যে শ্রীলঙ্কাকে কেবল বল নয়, ব্যাট হাতেও ভোগাতে প্রস্তুত, সেই বার্তাটা দিয়ে রাখলেন মাশরাফি।
মাশরাফির চার ছক্কার দুটি গেছে আকিল দনাঞ্জায়ার ওপর দিয়ে। বাকি দুটি মিলিন্দা সিরিবর্ধনে ও চতুরঙ্গ ডি সিলভার বলে। চারজনই স্পিনার—মাশরাফি যাদের ওপর চড়াও হতে ভালোবাসেন। ম্যাচের রংটাই বদলে দিয়েছিলেন এক হাতে। জয়ের জন্য ১৫ রান বাকি থাকতে লাহিরু মাদুশকানার বলে থিসারা পেরেরাকে ক্যাচ না দিলে ম্যাচে বাংলাদেশ হয়তো জিতেই যেত।
‘অলরাউন্ডার’ মাশরাফিকে পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে। গত প্রিমিয়ার লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। গত বিপিএলে ‘ব্যাটসম্যান’ মাশরাফির কল্যাণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
বাংলাদেশের হয়ে ‘অলরাউন্ডার’ মাশরাফিকে পাওয়া গেছে বেশ কবার। ২০-৩০-৪০-এর ঘরে বেশ কিছু সংক্ষিপ্ত ঝোড়ো ইনিংস আছে। ওয়ানডেতে অবশ্য সর্বশেষ ফিফটি করে ব্যাট উঁচিয়েছিলেন ১১ বছর আগে। ঢাকায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৭১। টেস্টে আছে ৩ ফিফটি। এর দুটি ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পরপর দুই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে। চট্টগ্রামে করেছিলেন ৭৯, ঢাকায় ৭০। টেস্টে শেষ ফিফটিটি ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
২০০৭ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে দিনেশ মঙ্গিয়ার বলে পরপর চারটি ছক্কার কথা ভুলে গেছেন—বাংলাদেশের এমন ক্রিকেটপ্রেমী বিরল। এই তো গত বছর এশিয়া কাপে খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর ছোট্ট একটা ইনিংস বাংলাদেশের জয়ে রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আজ কলম্বোয় মাশরাফি যে ইনিংসটি খেললেন, এই ইনিংসটি তাঁর ‘অলরাউন্ডার’ সত্তারই প্রকাশ। আবির্ভাবের সময়ই ২০০১ সালে অনূর্ধ্ব ১৭ এশিয়া কাপে কুয়েতের বিপক্ষে ১৭ বলে ৬০ রান করে প্রথম জানান দিয়েছিলেন তাঁর ‘অলরাউন্ডার’ সত্তার। অবশ্য অ্যান্ডি রবার্টস তাঁর মধ্যে ‘অলরাউন্ডার’ নয়, প্রতিভাধর পেসারের সম্ভাবনা দেখেছিলেন। দিয়েছিলেন সেই সার্টিফিকেট।
ক্যারিয়ারের পুরোটাজুড়ে ইনজুরির সঙ্গে লড়াই না করলে গল্পটা হয়তো অন্য রকম হতে পারত। তবে মাশরাফির মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝিলিক দিয়ে গেছে তাঁর ‘অলরাউন্ডার’ সত্তা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবারের সিরিজে সেই সত্তা জ্বলে উঠলে বাংলাদেশকে ঠেকায় কে!
তবে সীমিত ওভারের সিরিজে তিনি যে শ্রীলঙ্কাকে কেবল বল নয়, ব্যাট হাতেও ভোগাতে প্রস্তুত, সেই বার্তাটা দিয়ে রাখলেন মাশরাফি।
মাশরাফির চার ছক্কার দুটি গেছে আকিল দনাঞ্জায়ার ওপর দিয়ে। বাকি দুটি মিলিন্দা সিরিবর্ধনে ও চতুরঙ্গ ডি সিলভার বলে। চারজনই স্পিনার—মাশরাফি যাদের ওপর চড়াও হতে ভালোবাসেন। ম্যাচের রংটাই বদলে দিয়েছিলেন এক হাতে। জয়ের জন্য ১৫ রান বাকি থাকতে লাহিরু মাদুশকানার বলে থিসারা পেরেরাকে ক্যাচ না দিলে ম্যাচে বাংলাদেশ হয়তো জিতেই যেত।
‘অলরাউন্ডার’ মাশরাফিকে পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে। গত প্রিমিয়ার লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। গত বিপিএলে ‘ব্যাটসম্যান’ মাশরাফির কল্যাণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
বাংলাদেশের হয়ে ‘অলরাউন্ডার’ মাশরাফিকে পাওয়া গেছে বেশ কবার। ২০-৩০-৪০-এর ঘরে বেশ কিছু সংক্ষিপ্ত ঝোড়ো ইনিংস আছে। ওয়ানডেতে অবশ্য সর্বশেষ ফিফটি করে ব্যাট উঁচিয়েছিলেন ১১ বছর আগে। ঢাকায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৭১। টেস্টে আছে ৩ ফিফটি। এর দুটি ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পরপর দুই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে। চট্টগ্রামে করেছিলেন ৭৯, ঢাকায় ৭০। টেস্টে শেষ ফিফটিটি ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
২০০৭ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে দিনেশ মঙ্গিয়ার বলে পরপর চারটি ছক্কার কথা ভুলে গেছেন—বাংলাদেশের এমন ক্রিকেটপ্রেমী বিরল। এই তো গত বছর এশিয়া কাপে খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর ছোট্ট একটা ইনিংস বাংলাদেশের জয়ে রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আজ কলম্বোয় মাশরাফি যে ইনিংসটি খেললেন, এই ইনিংসটি তাঁর ‘অলরাউন্ডার’ সত্তারই প্রকাশ। আবির্ভাবের সময়ই ২০০১ সালে অনূর্ধ্ব ১৭ এশিয়া কাপে কুয়েতের বিপক্ষে ১৭ বলে ৬০ রান করে প্রথম জানান দিয়েছিলেন তাঁর ‘অলরাউন্ডার’ সত্তার। অবশ্য অ্যান্ডি রবার্টস তাঁর মধ্যে ‘অলরাউন্ডার’ নয়, প্রতিভাধর পেসারের সম্ভাবনা দেখেছিলেন। দিয়েছিলেন সেই সার্টিফিকেট।
ক্যারিয়ারের পুরোটাজুড়ে ইনজুরির সঙ্গে লড়াই না করলে গল্পটা হয়তো অন্য রকম হতে পারত। তবে মাশরাফির মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝিলিক দিয়ে গেছে তাঁর ‘অলরাউন্ডার’ সত্তা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবারের সিরিজে সেই সত্তা জ্বলে উঠলে বাংলাদেশকে ঠেকায় কে!
0 comments: