অ- অ অ+
কলম্বোর পি সারায় ঐতিহাসিক শততম টেস্টে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আবারও টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ের শীর্ষে সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ৪ উইকেটে জেতা মাইলফলকের ম্যাচটিতে সাকিব খেলেছিলেন ১১৬ ও ১৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনিংস। পাশাপাশি বল হাতে দুই ইনিংসে নিয়েছেন ৬ উইকেট। তাতেই সপ্তাহ না ঘুরতে ফের শীর্ষে সাকিব। গতকাল প্রকাশিত সব শেষ র্যাংকিংয়ে সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ৪৩১ আর দুইয়ে থাকা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৪০৮। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ড র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকায় ত্রিমুকুট এখন সাকিবেরই।
অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিং র্যাংকিংয়েও পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন সাকিব। এখন রয়েছেন ২১ নম্বরে, যা তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। ক্যারিয়ার সেরা র্যাংকিংয়ে মুশফিকুর রহিম আর মুস্তাফিজুর রহমানও। কলম্বো টেস্টে ৫২ ও অপরাজিত ২২ রানের দুটি ইনিংসে মুশফিক এক ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ২৮ নম্বরে। ৪৯ ও ৮২ রানের দুটি ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা তামিম ইকবাল ৯ ধাপ এগিয়ে ২৪-এ। তবে এটা তামিমের ক্যারিয়ার সেরা নয়। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৬৫৪। ২০১০ সালে ৭০৭ পয়েন্ট পেয়েছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ৭ ওভারের এক স্পেলে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সব মিলিয়ে কাটার মাস্টার নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তাতে ২০ ধাপ এগিয়ে মুস্তাফিজ এখন ৪৭ নম্বরে। বোলিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে সাকিব উঠে এসেছেন ১৭-তে।
রাঁচি টেস্টে অপরাজিত ১৭৮ রানের ইনিংসে ব্যাটিং র্যাংকিংয়ের চূড়ায় থাকা স্টিভেন স্মিথের ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট এখন ৯৪১, যা সর্বকালের যৌথ পঞ্চম সর্বোচ্চ। তাঁর সামনে কেবল জ্যাক হবস (৯৪২), রিকি পন্টিং (৯৪২), লেন হাটন (৯৪৫) ও ডন ব্র্যাডম্যান (৯৬১)। রাঁচির দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরিতে ব্যাটিং র্যাংকিংয়ের দুইয়ে উঠে এসেছেন চেতশ্বর পূজারা। বিরাট কোহলি রয়েছেন চারে। বোলিং র্যাংকিংয়ে রবীন্দ্র জাদেজা এককভাবে এখন শীর্ষে। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ক্যারিয়ার সেরা ৮৯৯ আর দুইয়ে নেমে যাওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৮৬২। এক ধাপ এগিয়ে তিনে উঠে এসেছেন রঙ্গনা হেরাথ।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করায় ৫ রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে বাংলাদেশের। ৬৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ৯ নম্বরে। আটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট ৬৯। ১ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের শীর্ষে থাকা নিশ্চিত হওয়ায় এক মিলিয়ন ডলারের জ্যাকপট পাচ্ছেন কোহলিরাই। ধর্মশালায় শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া হারলে দুইয়ে উঠে আসার সুযোগ তৈরি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। আইসিসি
0 comments: